হিজামা সম্পর্কে হাদিসসমূহ
সংক্ষেপে, হিজামা শুধু চিকিৎসা পদ্ধতি নয়; বরং সুন্নাহ ও কল্যাণময় এক আমল।:
“তোমরা চিকিৎসার জন্য হিজামার (কাপিংয়ের) চেয়ে উত্তম কোনো উপায় অবলম্বন করোনি।”
— (সহীহ আল-বুখারী, হাদিস: ৫৬৯৬)-
আরেক হাদিসে তিনি বলেছেন:
“হিজামা করার মধ্যে আরোগ্য আছে।”
— (সহীহ মুসলিম, হাদিস: ২২০৫) -
রাসূল (সা.) নিজেও হিজামা করেছেন।
জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত—“নিশ্চয়ই আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে হিজামা করতে দেখেছি। তিনি উহুদ পর্বতের কাছে থাকাকালে হিজামা করিয়েছিলেন।”
— (সহীহ মুসলিম, হাদিস: ২২২৭) -
আরেক হাদিসে এসেছে:
“হিজামা করা মানুষের জন্য খুবই উপকারী।”
— (সহীহ আল-বুখারী, হাদিস: ৫৬৯৯)
হিজামার উপকারিতা (বৈজ্ঞানিক ও ইসলামিক দৃষ্টিতে)
✅ রক্ত পরিশোধন করে – শরীরের নষ্ট, বিষাক্ত বা জমে থাকা রক্ত বের করে দিয়ে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক করে।
✅ ব্যথা উপশম করে – মাথাব্যথা, মাইগ্রেন, কোমর ব্যথা, জয়েন্টের ব্যথা ও মাংসপেশীর চাপ কমাতে কার্যকর।
✅ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে – হিজামা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
✅ স্ট্রেস ও টেনশন কমায় – শরীরের রক্ত সঞ্চালন ও স্নায়ুর চাপ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মানসিক প্রশান্তি আনে।
✅ পাচনতন্ত্র ও হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে – গবেষণায় দেখা যায় হিজামা শরীরের মেটাবলিজম ও হরমোন ব্যালান্স উন্নত করতে সাহায্য করে।
✅ রাসূল (সা.) এর সুন্নাহ – সবচেয়ে বড় উপকার হলো, এটি রাসূলুল্লাহ (সা.) এর প্রিয় আমলগুলোর একটি এবং সুন্নাহ হিসেবে পালন করলে দ্বীন ও দুনিয়ার উভয় উপকারিতা লাভ করা যায়।
No comments:
Post a Comment