গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়া নিয়ে অনেক দ্বিধা ও ভুল ধারণা আছে। আসলেই কিছু বৈজ্ঞানিক কারণ আছে যেগুলো আনারসকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলতে পারে, বিশেষ করে অতিরিক্ত খাওয়ার ক্ষেত্রে। বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করছি:
১. ব্রোমেলিন (Bromelain) এর উপস্থিতি
* আনারসে একটি এনজাইম থাকে যার নাম ব্রোমেলিন।
* এটি শরীরে প্রোটিন ভাঙতে সাহায্য করে।
* তবে ব্রোমেলিন জরায়ুর সার্ভিক্সকে নরম করতে পারে এবং জরায়ুর সংকোচন (contraction) বাড়িয়ে তুলতে পারে।
* এর ফলে অকাল প্রসব বা গর্ভপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়, বিশেষ করে প্রথম দিকে (প্রথম ৩ মাসে)।
২. অ্যাসিডিটি ও হজমজনিত সমস্যা:
* আনারস বেশ টক (অ্যাসিডিক) ফল।
* গর্ভাবস্থায় অনেকেরই অ্যাসিডিটি, বুক জ্বালা বা হজম সমস্যা থাকে।
* আনারস বেশি খেলে এগুলো আরও বেড়ে যেতে পারে।
৩. অ্যালার্জির ঝুঁকি
* অনেক গর্ভবতী নারী আনারসে থাকা ব্রোমেলিন ও প্রোটিনে অ্যালার্জি পেতে পারেন।
* এতে ত্বকে ফুসকুড়ি, ফোলা, চুলকানি, শ্বাসকষ্ট পর্যন্ত হতে পারে, যা মা ও ভ্রূণের জন্য ক্ষতিকর।
৪. রক্তপাতের সম্ভাবনা:
* ব্রোমেলিন রক্ত পাতলা করার ক্ষমতা রাখে।
* ফলে কারও কারও ক্ষেত্রে অতিরিক্ত খেলে হালকা রক্তপাত হতে পারে, যা গর্ভাবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ।
তবে মনে রাখতে হবে:
* অল্প পরিমাণে (১-২ টুকরা) পাকা আনারস সাধারণত ক্ষতিকর নয়।
* আসল ঝুঁকি থাকে অতিরিক্ত আনারস খেলে বা কাঁচা আনারস খেলে ।
* চিকিৎসকরা সাধারণত প্রথম ত্রৈমাসিকে (প্রথম ৩ মাস) আনারস খাওয়ায় সতর্ক থাকতে বলেন।
No comments:
Post a Comment