popunder

Sunday, August 31, 2025

জেনে নিন সুস্থ থাকার কিছু মজার টিপস-

 

  1. হাসি হলো প্রাকৃতিক ওষুধ – দিনে অন্তত কয়েক মিনিট হাসলে শরীরে "এন্ডরফিন" হরমোন বের হয়, যা ব্যথা কমায় ও মুড ভালো করে।

  2. পানি খাওয়ার সময় মস্তিষ্কের গতি বেড়ে যায় – যথেষ্ট পানি খেলে কনসেন্ট্রেশন ও মেমোরি ১০–১৫% পর্যন্ত উন্নত হয়।

  3. ঘুমের সময় লম্বা হওয়া – ঘুমের সময় মেরুদণ্ড একটু প্রসারিত হয়, তাই সকালে ঘুম থেকে উঠলে মানুষ সামান্য বেশি লম্বা হয়।

  4. আপেল বনাম কফি – সকালে এক টুকরো আপেল খেলে কফির মতোই আপনাকে জাগিয়ে দিতে পারে, কারণ এতে প্রাকৃতিক চিনি ও ফাইবার মস্তিষ্ককে চনমনে করে।

  5. হৃদয়ের কাজের ক্ষমতা – মানুষের হৃদপিণ্ড দিনে প্রায় ১ লক্ষ বার ধুকপুক করে, এবং পুরো জীবনে এত রক্ত পাম্প করে যে একটি রেলগাড়ি ভরাট হয়ে যাবে!


Saturday, August 30, 2025

গর্ভাবস্থায় পেঁপে খেলে কি হয়? জেনে নিন।

 গর্ভাবস্থায় পেঁপে খাওয়া কতটা ঝুঁকিপূর্ণ – এটা নির্ভর করে পেঁপের অবস্থার ওপর (কাঁচা না পাকা) এবং খাওয়ার পরিমাণের ওপর।

কাঁচা বা আধাপাকা পেঁপে (Green / Semi-ripe Papaya):

ঝুঁকিপূর্ণ:

  • কাঁচা বা আধাপাকা পেঁপেতে Latex (ল্যাটেক্স) নামক একটি পদার্থ থাকে।

  • এই ল্যাটেক্সে থাকে Papain ও Chymopapain নামক এনজাইম, যা জরায়ুর (Uterus) পেশিকে উত্তেজিত করে সংকোচন ঘটাতে পারে।

  • এতে প্রসব বেদনা (Premature labor) শুরু হয়ে যেতে পারে অথবা গর্ভপাত (Miscarriage) এর ঝুঁকি তৈরি হয়।

  • ল্যাটেক্স অনেক সময় Prostaglandin ও Oxytocin-এর মতো হরমোনের কাজ করে, যা জরায়ুর সংকোচন বাড়ায়।

  • এছাড়া, কাঁচা পেঁপে খেলে অ্যালার্জি, পাকস্থলীতে গ্যাস ও অস্বস্তি হতে পারে, যা গর্ভাবস্থায় ঝুঁকি বাড়ায়।

 পাকা পেঁপে (Ripe Papaya):

পরিমিত খাওয়ায় সাধারণত ঝুঁকিপূর্ণ নয়

  • পাকা পেঁপেতে ল্যাটেক্সের পরিমাণ অনেক কমে যায়, তাই গর্ভাশয়ে সংকোচন ঘটানোর ঝুঁকি থাকে না।

  • এতে রয়েছে Vitamin A, Vitamin C, ফোলেট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, যা মা ও ভ্রূণের জন্য উপকারী।

  • তবে বেশি খেলে ডায়রিয়া, এসিডিটি বা অস্বস্তি হতে পারে।

 তাই ডাক্তাররা সাধারণত গর্ভাবস্থায় কাঁচা বা আধাপাকা পেঁপে সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলতে বলেন, আর পাকা পেঁপে খেতে চাইলে পরিমিতভাবে খাওয়া যেতে পারে।



Thursday, August 28, 2025

গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়া কি ঝুঁকিপূর্ন?

 গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়া নিয়ে অনেক দ্বিধা ও ভুল ধারণা আছে। আসলেই কিছু বৈজ্ঞানিক কারণ আছে যেগুলো আনারসকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলতে পারে, বিশেষ করে অতিরিক্ত খাওয়ার ক্ষেত্রে। বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করছি:

১. ব্রোমেলিন (Bromelain) এর উপস্থিতি

* আনারসে একটি এনজাইম থাকে যার নাম ব্রোমেলিন।

* এটি শরীরে প্রোটিন ভাঙতে সাহায্য করে।

* তবে ব্রোমেলিন জরায়ুর সার্ভিক্সকে নরম করতে পারে এবং জরায়ুর সংকোচন (contraction) বাড়িয়ে তুলতে পারে।

* এর ফলে  অকাল প্রসব বা গর্ভপাতের ঝুঁকি  বেড়ে যায়, বিশেষ করে প্রথম দিকে (প্রথম ৩ মাসে)।


 ২.  অ্যাসিডিটি ও হজমজনিত সমস্যা:


* আনারস বেশ টক (অ্যাসিডিক) ফল।

* গর্ভাবস্থায় অনেকেরই অ্যাসিডিটি, বুক জ্বালা বা হজম সমস্যা থাকে।

* আনারস বেশি খেলে এগুলো আরও বেড়ে যেতে পারে।

 ৩.  অ্যালার্জির ঝুঁকি


* অনেক গর্ভবতী নারী আনারসে থাকা  ব্রোমেলিন ও প্রোটিনে অ্যালার্জি  পেতে পারেন।

* এতে ত্বকে ফুসকুড়ি, ফোলা, চুলকানি, শ্বাসকষ্ট পর্যন্ত হতে পারে, যা মা ও ভ্রূণের জন্য ক্ষতিকর।


 ৪.  রক্তপাতের সম্ভাবনা:


* ব্রোমেলিন রক্ত পাতলা করার ক্ষমতা রাখে।

* ফলে কারও কারও ক্ষেত্রে  অতিরিক্ত খেলে হালকা রক্তপাত হতে পারে, যা গর্ভাবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ।


তবে মনে রাখতে হবে:


* অল্প পরিমাণে (১-২ টুকরা) পাকা আনারস সাধারণত ক্ষতিকর নয়।

* আসল ঝুঁকি থাকে  অতিরিক্ত আনারস খেলে বা কাঁচা আনারস খেলে ।

* চিকিৎসকরা সাধারণত প্রথম ত্রৈমাসিকে (প্রথম ৩ মাস) আনারস খাওয়ায় সতর্ক থাকতে বলেন।

Wednesday, August 20, 2025

 হিজামা থেরাপি (Cupping Therapy) মূলত শরীর থেকে দূষিত রক্ত ও টক্সিন বের করে আনার মাধ্যমে বিভিন্ন রোগে কার্যকর ভূমিকা রাখে বলে মনে করা হয়। চুল পড়া রোধে হিজামার ব্যবহার একটি বেশ প্রচলিত বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি।


🔹 চুলপড়া রোধে হিজামা থেরাপির কার্যকারিতা


1. রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে:

   মাথার ত্বকে হিজামা করলে ঐ অঞ্চলে রক্তপ্রবাহ বেড়ে যায়। বাড়তি রক্ত সঞ্চালনের ফলে চুলের ফলিকল (Hair Follicle) প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ও পুষ্টি বেশি পায়, যা চুলকে মজবুত করতে সহায়তা করে।


2. টক্সিন ও দূষিত রক্ত অপসারণ:

   শরীরে জমে থাকা টক্সিন বা অপদ্রব্য চুলের ফলিকল দুর্বল করে এবং চুল ঝরে যায়। হিজামার মাধ্যমে দূষিত রক্ত বের করে চুলের গোড়া সুস্থ রাখার প্রচেষ্টা করা হয়।


3. হরমোন ও স্নায়ুতন্ত্রের ভারসাম্য আনা:

   কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত স্ট্রেস, হরমোনের অসামঞ্জস্য ও স্নায়বিক সমস্যা চুল পড়ার কারণ হয়। হিজামা শরীরের নির্দিষ্ট আকুপাংচার পয়েন্টে প্রয়োগ করলে মানসিক প্রশান্তি, হরমোন ব্যালান্স ও স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।


4. ড্যান্ড্রাফ ও স্ক্যাল্প ইনফেকশন হ্রাস:

   মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়লে প্রদাহ (Inflammation) কমে, যা খুশকি, স্ক্যাল্প ইনফেকশন বা ফাঙ্গাল প্রবণতা হ্রাসে ভূমিকা রাখতে পারে।


🔹 হিজামার প্রয়োগ (চুলপড়া রোধে)


1. সাধারণত মাথার ত্বকের স্ক্যাল্প রিজিয়নে এবং ঘাড় ও পিঠের নির্দিষ্ট পয়েন্টে হিজামা করা হয়।

2. কাপ বসানোর আগে ওই অংশ পরিষ্কার করা হয় এবং সাকশন তৈরি করা হয়।

3. প্রয়োজনে ওয়েট কাপিং (Wet Cupping)করা হয়, যেখানে সামান্য কাটার মাধ্যমে দূষিত রক্ত বের করা হয়।

4. সাধারণত মেডিক্যাল হিজামা বিশেষজ্ঞ দ্বারা এই প্রক্রিয়া করা উচিত।


 🔹 বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা


হিজামার কার্যকারিতা নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে। তবে কিছু বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পাওয়া গেছে:


1. Microcirculation উন্নত করে:

   গবেষণায় দেখা গেছে হিজামা শরীরের ক্ষুদ্র রক্তনালী (Capillaries) খুলে দেয়, ফলে অক্সিজেন ও পুষ্টি পরিবাহিতা বাড়ে।


2. Nitric Oxide (NO) বৃদ্ধি পায়

   হিজামার ফলে শরীরে Nitric Oxide রিলিজ হয়, যা রক্তনালী প্রসারিত করে এবং মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।


3. Oxidative Stress কমায়

   শরীরে জমে থাকা ফ্রি-র‍্যাডিক্যাল ও টক্সিন অপসারণে সাহায্য করে, যা চুলের ফলিকলকে সুস্থ রাখে।


4. ইমিউন মডুলেশন

   হিজামা ইমিউন সিস্টেমকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে এবং প্রদাহজনিত সমস্যা (Inflammation) হ্রাস করে।


5. Endorphin Release

   হিজামা করার ফলে শরীরে এন্ডোরফিন (প্রাকৃতিক পেইনকিলার ও সুখ হরমোন) নিঃসৃত হয়, যা মানসিক চাপ কমিয়ে চুল পড়ার অন্যতম কারণ “স্ট্রেস” নিয়ন্ত্রণ করে।


🔹 উপসংহার


হিজামা থেরাপি সরাসরি চুল গজানোর ঔষধ নয়, তবে চুল পড়া নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।

 এর প্রভাব মূলত রক্ত সঞ্চালন, টক্সিন অপসারণ ও হরমোন ব্যালান্স আনার মাধ্যমে হয়।

এটি অবশ্যই অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত হিজামা থেরাপিস্টের অধীনে করা উচিত, নাহলে ইনফেকশন বা ত্বকের ক্ষতির ঝুঁকি থাকে।

বিশ্বের মোট জনসংখ্যার মাত্র ০.২% ইহুদী হওয়া সত্বেও কেন জ্ঞান বিজ্ঞানে তারা শ্রেষ্ঠ?

  🧠 ১. শিক্ষার প্রতি গভীর গুরুত্ব ইহুদি সমাজে শিক্ষা ধর্মীয় দায়িত্বের অংশ বলে মনে করা হয়। ছোটবেলা থেকেই তারা “শেখা”কে ইবাদতের মতো মন...