popunder

Saturday, February 22, 2025

 হযরত ওমর (রা.) ও এক গরীব বিধবার গল্প

খলিফা হযরত ওমর (রা.) ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা এবং ন্যায়বিচার ও কঠোর নীতি অনুসরণের জন্য বিখ্যাত। তাঁর শাসনামলে মুসলমানরা সুবিচার ও নিরাপত্তার অধীনে জীবনযাপন করত। তিনি নিজে রাতের বেলায় ছদ্মবেশে ঘুরে ঘুরে প্রজাদের অবস্থা জানার চেষ্টা করতেন।

এক রাতে তিনি তাঁর এক সঙ্গী আসলামকে নিয়ে মদিনার উপকণ্ঠে বের হলেন। হাঁটতে হাঁটতে এক বস্তির দিকে চলে গেলেন। সেখানে একটি ছোট ঘর থেকে করুণ স্বরে কিছু বাচ্চার কান্নার শব্দ শুনতে পেলেন। তিনি ঘরের কাছে গিয়ে দেখলেন, দরিদ্র এক বিধবা মহিলা চুলায় একটি হাঁড়ি বসিয়ে রান্নার ভান করছেন।

হযরত ওমর (রা.) কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, “হে মা, তোমার সন্তানরা কাঁদছে কেন?”

মহিলা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, “ওরা ক্ষুধার্ত, বাড়িতে কোনো খাবার নেই। হাঁড়িতে শুধু পানি আর পাথর দিয়েছি যাতে ওরা ভাবতে পারে যে রান্না হচ্ছে এবং কিছুক্ষণ পরে ঘুমিয়ে পড়বে।”

এই কথা শুনে হযরত ওমর (রা.) কেঁদে ফেললেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে মদিনার খাদ্য গুদামে গেলেন এবং নিজের কাঁধে করে এক বস্তা আটা, কিছু খেজুর, ঘি ও অন্যান্য খাবার নিয়ে এলেন। তাঁর সঙ্গী আসলাম বললেন, “আমাকে দিন, আমি বহন করব।”

কিন্তু ওমর (রা.) বললেন, “কিয়ামতের দিন তুমি কি আমার বোঝা বহন করবে?”

তারপর তিনি নিজ হাতে বিধবার বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিলেন এবং চুলায় আগুন ধরিয়ে রান্না শুরু করলেন। তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে দেখলেন, শিশুদের মুখে হাসি ফুটেছে এবং তারা আনন্দের সঙ্গে খাবার খাচ্ছে।

মহিলা তখনও জানতেন না, তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিটি খলিফা ওমর (রা.)। তিনি বললেন, “আল্লাহ তোমাকে উত্তম প্রতিদান দিন! তুমি তো খলিফা হওয়ার যোগ্য।”

হযরত ওমর (রা.) তখন কিছু না বলে মুচকি হাসলেন এবং আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করলেন

No comments:

Post a Comment

বিশ্বের মোট জনসংখ্যার মাত্র ০.২% ইহুদী হওয়া সত্বেও কেন জ্ঞান বিজ্ঞানে তারা শ্রেষ্ঠ?

  🧠 ১. শিক্ষার প্রতি গভীর গুরুত্ব ইহুদি সমাজে শিক্ষা ধর্মীয় দায়িত্বের অংশ বলে মনে করা হয়। ছোটবেলা থেকেই তারা “শেখা”কে ইবাদতের মতো মন...